হেলমেট না পরেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাইক ৱ্যালি দুর্গাপুরে।দর্শকের ভূমিকায় রইল পুলিশ।

নিউজ বেঙ্গল দুর্গাপুর=সেফ লাইফ সেভ ড্রাইভের বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়.এই বার্তার লক্ষ্য ছিল দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো, মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা কাজেও লেগেছিল। পুলিশের তৎপরতাতে বাড়তে থাকা দুর্ঘটনার সংখ্যাও কমেছিল। কিন্তু শনিবার দুর্গাপুরের মানুষ যা দেখলো তাতে করে সেই পুলিশের সেই তৎপরতার ভাবমুর্তি কোথাও যেন ধাক্কা খেল। দুর্গাপুর চিত্রালয় মেলা ময়দান থেকে শনিবার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া বার্তামাফিক পরাক্রান্ত যাত্রা ছিল, বিজেপির বাইক বাহিনী শহরের বুকে দলের ঝান্ডা নিয়ে হেলমেট না পরেই বাইক ৱ্যালি করল, কোমায় পাঠিয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সেফ লাইফ সেভ ড্রাইভের সেই বার্তা। আর পুলিশও ভুলে গেল তৃণমূল সুপ্রিমো হিসেবে নয় এই রাজ্যের একজন সাংবিধানিক পদে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তা দিয়েছিলেন। ট্রাফিক আইন মানতে অনুরোধ করা তো দূর অস্ত শহরের বুক জুড়ে চললো হেলমেটবিহীন বাইক বাহিনী বেপরোয়া বাইক ৱ্যালি পুলিশ ছিল পুলিশের মতো। এখন এসব দেখে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন একই ইস্যুতে তারাও ছাড় পাবেন তো? একটু ভুলে তো ফাইন থেকে শুরু করে আরো নানা পুলিশী হয়রানির শিকার হতে হয় তাদেরকে। উত্তর পুলিশ একমাত্র দিতে পারে। আর কেন হেলমেট না পড়ে বাইক ৱ্যালি হল না, সেই উত্তরও দিতে পারেন একমাত্র বিজেপি নেতৃত্ব।রাজনৈতিক কর্মসূচী হতেই পারে,কিন্তু এইটুকু দায়িত্বশীল নেতা নেত্রী কি নূতুন প্রজন্ম দেখতে পাবে না? শুধুই কি রাজনীতির অলিন্দেই ঘোরাফেরা করবে আমাদের দায়িত্ব স্বাধীন মতামত? প্রশ্নটা কতটা কঠিন জানা নেই, তবে উত্তর মেলাটা ততটাই কঠিন।

 

Comments

Popular posts from this blog

বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডলের সাথে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার দুর্গাপুরে। পোস্টারকে ঘিরে জোর রাজনৈতিক চর্চা।

পাহাড়কে দূষণ মুক্ত করার ডাক দিয়ে দুর্গাপুর থেকে সাইকেল করে শুশুনিয়া পাহাড় পাড়ি তরুণ ব্রিগেডের।

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা মারল ছোটো মালবাহী গাড়ি. দুর্গাপুরে এই পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক.