জীবন্ত সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ বাবা মায়ের বিরুদ্ধে। অমানবিক এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল দুর্গাপুরের মানুষ। একেই বলে হয়তো “রাখে হরি মারে কে”।
নিউজ বেঙ্গল দুর্গাপুর=করোনা আবহে কেটে গেল ২০২০সাল।মারণ ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে ত্রাহি ত্রাহি রব ছিল গোটা বিশ্ব, হু হু করে বেড়েছে মৃত্যু মিছিল। কিন্তু করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর ছোবল যে আমাদের গ্রাস করে বসে আছে তার জ্বলন্ত প্রমান মিলল বৃহস্পতিবার সকালে। কন্যা সন্তান হয়ে জন্ম নেওয়াটাই ছিল একটা বড় অপরাধ,আর যার জেরে কনকনে ঠান্ডায় একরতি সদ্যজাতের ঠাঁই হল ফাঁকা মাঠে,এক হাত গর্তের মধ্যে।দুর্গাপুরের নিশান হাট বস্তির ভেতর দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশের ফাঁকা মাঠের মধ্যে অমানবিক এই ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল এলাকার মানুষ। স্থানীয় সূত্রমাফিক জানা যাচ্ছে সুনীল রুইদাস,পেশায় রিক্সা চালক সুনীল বাবু চার সন্তানের বাবা, ফের রুইদাস দম্পতির এক কন্যা সন্তান হওয়ায়, তাকে নিশান হাট বস্তির একটি ফাঁকা মাঠে জীবিত অবস্থায় পুঁতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ, আশপাশের ছোটো ছেলেমেয়েরা মাঠে খেলার সময় সদ্যজাত ঐ শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যায় ঐ গর্তের সামনে দেখেন ব্যাগবন্দী ঐ সদ্যজাত কাঁদছে সাথে সাথে তাকে ঐ শিশুরাই উদ্ধার করে তার মা বাবার কাছে দিয়ে আসে,তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারাই অসুস্থ ঐ শিশুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ চার সন্তানের মধ্যে দুটি মেয়ে রয়েছে সুনীল রুইদাসের, ফের এক কন্যা সন্তানের জন্ম নেওয়াতে তাকে জীবন্ত পুঁতে দিয়ে মেরে ফেলতে চাইছিল বাবা মা, পড়ে জানাজানি হতে ক্ষমা স্বীকার করেন তারা। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম স্থানীয় এক মহিলা বস্তাবন্দী ঐ সদ্যজাতকে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেন, কিন্তু বাবা মা দুই জনই যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তাদের, পুলিশের ভয় দেখানো হলে তখন হুঁশ ফেরে দুই জনের। খবর পেয়ে নিশান হাট বস্তিতে আসে পুলিশ, শান্ত করে উত্তেজিত জনতাকে। তবে এই ঘটনায় ফের প্রমান হল করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষাক্ত ছোবল খেয়ে বসে আছে এই সমাজ, জানা নেই এই বিষাক্ত ছোবলের দংশন থেকে মুক্তি কোন পথে। তবে প্রবাদের সেই কথা রাখে হরি তো মারে কে সেই সত্যির বাস্তব রূপ দেখলো দুর্গাপুরের মানুষ।
Comments
Post a Comment