কেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লাঠিচার্জ করলেন কোকওভেন থানার আধিকারিককে এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালো সিপিআইএম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।
নিউজ বেঙ্গল দুর্গাপুর=কোকওভেন থানার পুলিশ আধিকারিক মনোজিৎ ধারা বৃহস্পতিবার কেন লাঠি চালালেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে? এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী করল সিপিআইএম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার বাম ও কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে ডিভিসি মোড় সংলগ্ন জাতীয় সড়কের ওপর বসে পড়ে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা, পরিস্থিতির সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, জখম হন বেশ কয়েকজন সিপিআইএম কর্মী সমর্থক। এই ঘটনায় অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হয় কোকওভেন থানার আধিকারিক মনোজিৎ ধারাকে। শুক্রবার কোকওভেন থানার সামনে সিপিআইএমের প্রতিবাদ কর্মসূচীর মঞ্চ থেকে দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার অভিযোগ তোলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩৮নম্বর ওয়ার্ডের অধীন অঙ্গদপুর রাতুড়িয়া শিল্পতালুকে বালি আর লোহা চোরদের দাপাদাপি চলছে, অথচ কোকওভেন থানার আধিকারিক এইসব ব্যাপারে রহস্যজনকভাবে নীরব, আর আমরা এসব চলতে দেব না প্রয়োজনে শুরু হবে ধারাবাহিক আন্দোলন জানালেন সিপিআইএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার।জেলার এই সিপিআইএম নেতার অভিযোগ, বালিঘাট চলছে অঙ্গদপুরে দাপাচ্ছে বালি মাফিয়ারা আর দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে কোকওভেন থানার আধিকারিক। শুক্রবারের এই আন্দোলনে দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়, ছিলেন প্রাক্তন দুই বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী, গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী সহ অন্যান্য সিপিআইএম নেতৃত্ব, ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য স্বপন ব্যানার্জী সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারাও। কোকওভেন থানা চত্বরে সিপিআইএম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচীকে ঘিরে নুতন করে অশান্তি এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়ন ছিল থানা চত্বরে।
Comments
Post a Comment