শুরু হল দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট মেরামতির কাজ।বৃহস্পতিবার সকালে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি জানালেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি।
নিউজ বেঙ্গল দুর্গাপুর=বড় কোনো অঘটন না ঘটলে সবকিছু ঠিকঠাক চললে বৃহস্পতিবার সকালেই দুর্গাপুর ব্যারেজে জল আসবে,স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।প্রায় একশো ঘন্টার পর ৩১নম্বর লকগেট মেরামতির কাজ শুরু হওয়ার পর এটাই ছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজির প্রতিক্রিয়া। জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, সেচ দফতরের আধিকারিকরা তাকে জানিয়েছেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে তাতে করে খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে,দুর্ভোগ কমবে সাধারণ মানুষের। বুধবার দুপুর পৌনে একটা নাগাদ দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১নম্বর লকগেট মেরামতির কাজ শুরু করে প্রযুক্তিবিদরা, এর আগে শনিবার গেট ভাঙার পর থেকে জলের স্তর নামাতে বেশ বেগ পেতে হয় রাজ্যের সেচ দফতরের কর্মীদের, শেষ মেশ বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ তৈরী আর নদের গতিপথের অভিমুখকে ঘুরিয়ে দিয়ে কাজ শুরুর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই কাজেও অনেকটা সময় গড়িয়ে যায়, যা জল সঙ্কটের পরিস্থিতি তৈরী করে শহর দুর্গাপুরে। এইসব বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে পাম্প করে জলের স্তর নামিয়ে ৩১নম্বর লকগেটে পৌঁছোয় প্রযুক্তিবিদরা,বুধবার দুপুর থেকে শুরু হয় গেট মেরামতির কাজ। কাজের সময় মাঝে মাঝে দুর্গাপুর ব্যারেজ ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখন দেখার বিষয় যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে কিভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, কারণ ইতিমধ্যে জল সংকটে দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের সাত নম্বর ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়েছে, বেশ কয়েকটি কারখানা তাদের উৎপাদন পর্বে কিছু কাটছাট করেছে, ঠিক তেমনি শহর দুর্গাপুরে জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে, যে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে দুর্গাপুর নগর নিগম ও জেলা প্রশাসন। যদিও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা এরপরই স্বাভাবিক হবে পুরো পরিস্থিতির আর জেলা প্রশাসন জলের সঙ্কট মেটাতে সবরকম ভাবে তৈরী তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু শ্যামলেন্দু পাল নামে লকগেট মেরামতির কাজে নিযুক্ত এক ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধারের বক্তব্য এত দেরিতে কাজ শুরু হওয়ার জন্য সেচ দফতরের ব্যার্থতা দায়ী কারণ,পরিকল্পনার মধ্যে যথেষ্ট অভাব ছিল আর যার জন্য এতদিন ধরে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হল। সব মিলিয়ে শহরবাসী এখন বলছে আগে কাজ শেষ হোক, কারণ আজকাল এইসব শুনতে শুনতে দুর্ভোগটা আমাদেরই বাড়ছে কেউ এই যন্ত্রণার ভাগ নিতে আসছেন না।
Comments
Post a Comment