ফের রাজনীতির বেড়াজালে বন্দী দুর্গাপুরের বন্ধএম.এ. এম. সি কারখানা।একুশে বাংলার মসনদে ক্ষমতায় এসে খুলে দেব কারখানা দাবী বিজেপি নেতার। কিছু না জেনে কথা বলছে বিজেপি পাল্টা খোঁচা তৃণমূল ও সিপিআইএমের।

নিউজ বেঙ্গল দুর্গাপুর =১৯৬৩ সালে দুর্গাপুরে তৈরী হয়েছিল এম. এ. এম. সি কারখানা। কোল ইন্ডিয়ার যন্ত্রপাতি তৈরী হতো এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায়। পাকাপাকিভাবে ২০০২সালে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়, তখন প্রায় ১৪৯২জন কর্মী ছিল এই সংস্থায়। ২০১১সালে রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার গেট থেকে তুলে নেওয়া হয় সি. আই. এস.এফ জওয়ানদের, কারখানার সম্পত্তি আগলাতে দায়িত্ব দেওয়া হয় বেসরকারী এক নিরাপত্তারক্ষি এজেন্সিকে।তিনটি কনসটিয়াম করে কারখানা বাঁচানোর চেষ্টাও হয়েছিল, কিন্তু আজ সবটাই ইতিহাস। কিন্তু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা এই বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নির্বাচন এলেই রাজনীতির বেড়াজালে বন্দী হয়ে পড়ে, আর যে বেড়াজালে স্বপ্নের জালে আশায় বুক বাধঁতে থাকে প্রাক্তন শ্রমিকদের পরিবার, আর ভোট মিটলেই ফের স্বপ্নের বেলুন কেমন যেন চুপসে যায়, সেই হতাশার চেনা ছন্দে ফিরে যায় কারখানার শ্রমিক পরিবাররা। কখনো ফ্যাক্স এর সাদা কাগজ আবার কখনো বা প্রতিশ্রুতির রাজনৈতিক কৌশলী চালে এখানকার প্রাক্তন শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা প্রতারিত হয়েছে আর ভোট নিয়ে চলে গেছে ভোট বাবুরা। একুশে বিধানসভা নির্বাচনে ফের দুর্গাপুরের বন্ধ এম. এ. এম. সি কারখানা রাজনৈতিক ভোট বাবুদের কৌশলী চালে বন্দী। রবিবার দুর্গাপুরের এম. এ. এম. সি তে দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই প্রতিশ্রুতি দিলেন বাংলার ক্ষমতাতে বসে তাদের প্রথম কাজ হবে বন্ধ এই কারখানার দরজা খোলা, কারণ অনেক শ্রমিক পরিবার তাদের বেকার ছেলেমেয়েদের জন্য এই কারখানার দিকে তাকিয়ে বসে আছে, তাই তাদের মুখে হাসি ফোটানো হবে বিজেপির প্রথম কাজ। বিজেপি নেতৃত্বের এই প্রতিশ্রুতিতে কটাক্ষের সুর সিপিআইএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকারের, এই সিপিআইএম নেতার অভিযোগ, অটলবিহারি বাজপেয়ীর আমলে এই কারখানা খুলে গেছে এমন একটি সাদা কাগজ দেখিয়ে এম. এ. এম. সির মাঠে সেই সরকারের খেল মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিটিং করেছিলেন, এরপরের ঘটনা দুর্গাপুরের মানুষ সব জানেন,প্রশ্ন তোলেন তাহলে কি তৎকালীন খেল মন্ত্রীর সেই কারখানা খোলার চিঠি আজ লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের পকেটে? আই. এন. টি. টি. ইউ. সি পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পড়িয়াল অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকারের আমলেই শুধু এম.এ. এম. সি কারখানা কেন শহর দুর্গাপুরে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধ হয়েছে, বেশ কিছু সংস্থার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া চলছে সমানতালে,আবার তারাই বলছে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এম. এ. এম. সি কারখানা খুলবে তারা, এটা বিজেপি নেতাদের দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু হতে পারেনা বলে বিশ্বনাথ বাবুর অভিযোগ, একই সুরে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস নেতা অসীম চ্যাটার্জী, তার অভিযোগ, বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই কিছু না জেনে কথা বলছেন, বার্তা দিয়েছেন রাজনীতির অলিন্দে না থেকে আসুন ডান বাম সবাই এক হয়ে বন্ধ এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা খোলার ব্যাপারে একযোগে আন্দোলন শুরু করি তাতে করে শিল্পাঞ্চলের মুকুটে পালক জুড়বে, হাসি ফুটবে শহরবাসীর। কিন্তু রাজনৈতিক অলিন্দের এই কুটকাচালিতে তিতিবিরক্ত এম. এ. এম. সি র প্রাক্তন শ্রমিকরা, অভিযোগ করছেন প্রতিবার ভোট আসে আর ভোট বাবুরা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে পালিয়ে যায়, আর তারা রয়ে যায় সেই একই তিমিরে, সাথে এই প্রাক্তন শ্রমিকদের অভিযোগ, বিলগ্নিকরণের পথে চলছে এই কেন্দ্রীয় সরকার,সুতরাং এই সময়ে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এম. এ. এম. সি কারখানা খুলে যাবে বিজেপি নেতার এই প্রতিশ্রুতি আর তারা বিশ্বাস করেনা, শুধু বিজেপি কেন আর কোনো দলের নেতার কোনো কথাই আজ তারা বিশ্বাস করেনা বলে এম
এ. এম. সি কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন। ভোট বাজারে দুর্গাপুর শহরের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এম. এ. এম. সি, হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজার কারখানা ভোট বাবুদের প্রচারের তালিকায় আসে আর বাকি সময় এই ভোট বাবুরা রয়ে যায় কুম্ভকর্ণের ঘুমে,তবে এবার ভোট বাবুদের এই কৌশলী চাল এখানকার মানুষরা ধরে ফেলেছেন আর সম্ভতঃ এই বার্তা ভোট বাবুদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজটা চওড়া করেছে।

Comments

Popular posts from this blog

বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডলের সাথে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার দুর্গাপুরে। পোস্টারকে ঘিরে জোর রাজনৈতিক চর্চা।

পাহাড়কে দূষণ মুক্ত করার ডাক দিয়ে দুর্গাপুর থেকে সাইকেল করে শুশুনিয়া পাহাড় পাড়ি তরুণ ব্রিগেডের।

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা মারল ছোটো মালবাহী গাড়ি. দুর্গাপুরে এই পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক.