প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে থাকলেও এখনও দামোদর নদের জলের স্তর নামল না। আর এর জেরে দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট মেরামতির কাজে এখনও হাত দিতে পারলো না প্রযুক্তিবিদরা।
নিউজ বেঙ্গল দুর্গাপুর=ব্যারেজের লকগেট মেরামতির কাজে এখনও হাত দিতে পারলো না ইঞ্জিনিয়াররা। দামোদর নদের জলের স্তর শনিবারের মতো না থাকলেও রবিবার সকাল পর্যন্ত ভাঙা গেট দিয়ে হু হু করে জল ঢুকছে, আর এটি গেট মেরামতির ক্ষেত্রে এখন অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে। রবিবার সকালে সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত দাস পরিদর্শন করেন দুর্গাপুর ব্যারেজ, কথা বলেন, এক্সপার্ট টিমের সদস্যদের সাথে কিন্তু জলের স্তর না নামা পর্যন্ত ভাঙা লকগেট মেরামতি করা সম্ভব নয় বলে জানান জয়ন্ত বাবু।ইতিমধ্যে পরিস্তিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতা থেকে সেচ দফতরের সচিব সহ একঝাঁক উচ্চপদস্থ আধিকারিক দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শনে আসছেন বলে দুর্গাপুরের সেচ দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। কিন্তু কখন ভাঙা লকগেট মেরামতির কাজ শুরু করা যাবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এইদিকে। লকগেট মেরামতির কাজে নিযুক্ত এক ঠিকাদার বলছেন, বালির বস্তা ফেলে ৩১নম্বর গেট পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা বানানোর কাজ চলছে, কিন্তু সেই ক্ষেত্রেও কাজ ধীর গতিতে করতে হচ্ছে,কাজের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দামোদরের সেই জলের স্তর। শনিবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১নম্বর গেট হটাৎ বিকট এক শব্দে ভেঙে যায়, একই ভাবে ২০১৭সালের নভেম্বর মাসে ১নম্বর লকগেট ভেঙে যাওয়াতে বিপত্তি বাঁধে, শুরু হয় জলের সংকট, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে না তো এইবার এখন সেই আতঙ্ক এখন গ্রাস করে বসে আছে সাধারণ মানুষকে, কারণ ইতিমধ্যে শহরের বেশ কিছু প্রান্তে জলের সংকট শুরু হয়ে গেছে, এখন লকগেট মেরামতির কাজ যত তাড়াতাড়ি শুরু হবে ততো তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে মনে করছেন অনেকে। এখন এইসব প্রশ্নের উত্তর সময় দেবে।
Comments
Post a Comment