লকডাউনে দুর্গাপুরে আটকে পড়লেন গুজরাটের পরিযায়ী কিছু শ্রমিক.খাবারের ব্যবস্থা করলেন সাংবাদিকরা.

নিউজ বেঙ্গল দুর্গাপুর=লকডাউন এদের ঘরে ফেরার পথে অন্তরায় তৈরী করেছিল, প্রথম ধাপের এই লকডাউনে পঁচিশ জন পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছিল কর্মস্থল গুজরাটে. দীর্ঘদিন ঘরে না ফিরতে পারায় পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে এরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল দিনের পর দিন ,

ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছিল লক ডাউন,আশায় এরাও বেঁচে থাকার স্বাদ খুঁজে পেয়েছিল.গুজরাটে এরা কেউ লোডিং আনলোডিংয়ের কাজ করতো আবার কেউবা করতো নির্মাণ শিল্পে কাজ. শেষ মেশ গত শুক্রবার রাতে এরা গুজরাটের নোয়াপুরের নিজেদের কর্মস্থল থেকে বাসে দক্ষিন দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে বাড়ীর উদ্দ্যেশে রওনা দেয়.কিছু পরিযায়ী শ্রমিকের সাথে ছিল তাদের পরিবার পরিজন, ও খুদে সদস্যরাও.

কিন্তু এখানেও অন্তরায় সেই লকডাউন. কোভিড চেন ভাঙতে রাজ্য সরকার ধাপে ধাপে লকডাউন সিস্টেম শুরু করেছে, আর সোমবার ছিল লকডাউন,তাই ভোরে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে বাস ঢোকা মাত্রই থমকে যায় সবকিছু,লকডাউনের জেরে আটকে পড়েন এই পরিযায়ীরা,একদিকে ছিল খিদের যন্ত্রনা আর অন্যদিকে ছিল মাথা গোঁজার একটু আস্তানা.শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুরের সাংবাদিকরাই সিটিসেন্টারে দক্ষিনবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস টার্মিনালের নিচে থাকার ব্যবস্থা করে দেন,ব্যবস্থা করেন খাবারের.এই পরিযায়ী আর তার পরিবারের সদস্যদের জানা নেই লকডাউনের সংজ্ঞাটা কি?

জানে শুধু কাজ করতে না পারলে জুটবে না দুই বেলা দুই মুটো অন্নের সংস্থান.অতিমারী করোনা এদের শিখিয়ে দিল অনেক কিছু, তাই আর পাঁচ জনের মতো এরাও অপেক্ষায় কবে এই পৃথিবী আবার শান্ত হবে ফিরে আসবে সেই চেনা ছন্দে.

Comments

Popular posts from this blog

বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডলের সাথে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার দুর্গাপুরে। পোস্টারকে ঘিরে জোর রাজনৈতিক চর্চা।

পাহাড়কে দূষণ মুক্ত করার ডাক দিয়ে দুর্গাপুর থেকে সাইকেল করে শুশুনিয়া পাহাড় পাড়ি তরুণ ব্রিগেডের।

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা মারল ছোটো মালবাহী গাড়ি. দুর্গাপুরে এই পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক.