দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানের সংস্কার নিয়ে মেয়র ও দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর বোরো চেয়ারম্যানের বিরোধ তুঙ্গে

নিউজ বেঙ্গল দুর্গাপুর=এবার শ্মশানঘাট সংষ্কার নিয়ে তরজায় জড়ালেন নগরনিগমের মেয়র দিলিপ অগস্তি ও ৪নং বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জী । চন্দ্রশেখর ব্যানার্জীর বিষ্ফোরক অভিযোগ, মেয়রের সদিচ্ছার অভাবেই দুর্গাপুরের একমাত্র শ্মশান বীরভানপুর সংষ্কারের কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে ।অন্যদিকে বোরো চেয়ারম্যানের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মেয়রের তোপ , ওরা গোষ্ঠীবাজি করছে , বিষয় না জেনে হিরো হবার চেষ্টা করছেন বোরো চেয়ারম্যান । মেয়র – বোরো চেয়ারম্যানের এই মুখোমুখি সংঘাত ফের একবার দুর্গাপুরের রাজনীতিতে আলোড়ন । ফের প্রকাশ্যে শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ ।দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানে দুটি ইলেক্ট্রিক চূল্লীর একটি দীর্ঘদিন আগেই খারাপ হয়ে পড়ে আছে ।অপর চুল্লির ওপর ভরসা করেই শুধু দুর্গাপুর নয় , বাঁকুড়ার বড়জোড়া , মেজিয়া থেকেও স্বজনের দেহ নিয়ে আসেন শ্মশানযাত্রীরা । এবার সেটিও বিকল হয়ে পড়াতে চরম সমস্যায় শ্মশানযাত্রীরা । গড়ে প্রায় ১৫টি দেহ আসে প্রতিদিন ।

কাঠে মৃতদেহ পোড়াতে খরচ প্রায় চারগুন , বলছেন শ্মশানযাত্রীরা ।নগরনিগমকে জানানো হয়েছে বলে জানালেন শ্মশানে অবস্থিত মন্দির কমিটির সম্পাদক শ্যামল আচার্য্য.শ্মশানের এই বেহাল অবস্থার জন্য বোরো চেয়ারম্যান সরাসরি দায়ী করেছেন মেয়র দিলীপ অগস্তিকে ।

তিনি জানান যে এই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ রুমা পাড়িয়াল ও তিনি অবিলম্বে শ্মশান সংষ্কারের জন্য মেয়র সহ নগর প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন । কিন্তু মেয়রের সদিচ্ছার অভাবেই সংষ্কারের পরিকল্পনা গতি হারাচ্ছে বলে অভিযোগ চন্দ্রশেখর বাবু ।অন্যদিকে মেয়র দিলীপ অগস্তি এই অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ফোন মারফৎ জানান যে বোরো চেয়ারম্যান না জেনে বিবৃতি দিয়ে হিরো হবার চেষ্টা করছেন । বোরো চেয়ারম্যান সহ কয়েকজন গোষ্ঠীবাজি করছেন বলে পাল্টা বিষ্ফোরক মেয়র ।

তিনি জানান এই সংষ্কার প্রকল্পে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে , যা রাজ্য সরকার দেবে । ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য মেয়রের ।মেয়র ও বোরো চেয়ারম্যানের এই তরজায় ফের একবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে । ইতিমধ্যেই গত কয়েকদিনের নানা ঘটনায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে । সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর মনোনীত নেতৃত্বের সংবর্ধনা নিয়েও গোষ্ঠীদ্বন্দ লক্ষ করা গেছে । এক গোষ্ঠী মলয় ঘটক , বিশ্বনাথ পাড়িয়াল কে সংবর্ধনা দিল , অপর গোষ্ঠী জিতেন্দ্র তেওয়ারী কে সংবর্ধনা দিল , এছবিও আমরা দেখেছি । চেয়ারম্যান মলয় ঘটক ও সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারী দুটি সভাতেই গোষ্ঠী দুরত্ব কমানোর কথা বলেছেন । তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর যে কোন কর্মসূচীতেই কোন শিবিরে কতজন কাউনসিলর রয়েছে , সেটা নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন কর্মী থেকে নেতৃত্ব । ফলে এদিনের তরজা যে আবার গোষ্ঠীদ্বন্দকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেল , তা বলাই বাহুল্য ।

Comments

Popular posts from this blog

বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডলের সাথে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার দুর্গাপুরে। পোস্টারকে ঘিরে জোর রাজনৈতিক চর্চা।

পাহাড়কে দূষণ মুক্ত করার ডাক দিয়ে দুর্গাপুর থেকে সাইকেল করে শুশুনিয়া পাহাড় পাড়ি তরুণ ব্রিগেডের।

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা মারল ছোটো মালবাহী গাড়ি. দুর্গাপুরে এই পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক.