এক বৃদ্ধর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা দুর্গাপুরে.মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাঁধা মহকুমা প্রশাসনকে.
নিউজ বেঙ্গল দুর্গাপুর=মারণ ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ না নেগেটিভ এই প্রশ্নের দোলাচলে বছর আশির বৃদ্ধর মৃতদেহ ঘরের মধ্যে পরে রইল কমবেশী দশ ঘন্টার মতো.
দুর্গাপুর নগর নিগমের তেত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর এলাকার এই ঘটনায় উত্তেজিত গ্রামবাসী আর মৃতের পরিবারের লোকজন প্রশাসনের হাতে মৃতদেহ তুলে দিতে অস্বীকার করল.
শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই গোটা পর্বের যবনিকা পড়লো স্থানীয়দের অনেক বোঝানোর পর. শুক্রবার সকালে ফরিদপুরে এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয়. স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই পরিবারে দুই জন সদস্যর নমুনা পরীক্ষায় নাকি পজিটিভ এসেছিল.দাবী ছিল অবিলম্বে এই বৃদ্ধর লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ঠিক কি আছে তা জানিয়ে প্রশাসনকে মৃতদেহ নিয়ে যেতে হবে নচেৎ তারা কোনোভাবেই মৃতদেহ প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন না.
পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও স্থানীয়দের বোঝাতে পারেনি. খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দুর্গাপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট উদয় নারায়ণ জানা. কিন্তু এখানেও তার সাথে একপ্রস্থ বচসা শুরু হয় মৃতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের.
কেন লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে এত দেরী হচ্ছে এই প্রশ্ন তুলে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক ও পুলিশের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী, ক্ষোভের মুখে পড়েন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ রাখি তেওয়ারিও.
এরপর পুলিশ অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে.স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্গাপুর নগর নিগম স্যানিটাইজিংয়ের কাজ ঠিকমতো করেনি, আর কেন রিপোর্ট পেতে এত দেরী হবে.
দুর্গাপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট উদয় নারায়ণ জানা জানিয়েছেন, সরকারী নিয়মমাফিক তারা কাজ করছেন,মৃতদেহ তারাই দায়িত্ব নিয়ে সৎকার করবেন, পরিবারের দুই একজন সুরক্ষা নিয়ে শ্মশানঘাটে থাকতে পারেন.
গোটা ঘটনায় ফের প্রমান হল সরকার মারণ ভাইরাস করোনা নিয়ে যতই সচেতনতা গড়ার বার্তা দিক না কেন সাধারণ মানুষ এখনও সচেতন হওয়া তো দূর অস্ত সজাগই হয়নি এখনও, আর যার জন্য শুধু পজিটিভ আর নেগেটিভ এই প্রশ্নের দোলাচলে কমবেশী দশ ঘন্টার মতো বৃদ্ধের মৃতদেহ পরে রইল ঘরের মধ্যে.
Comments
Post a Comment